করোনা কাঁপুনির মধ্যেই বিপুল বেগে আসছে ঘূর্ণিঝড়



করোনা আতঙ্ক ছিলই। সঙ্গে দোসর এবার আমপান (Amphan) ঘূর্ণিঝড়। শক্তি বাড়িয়ে সোমবার যা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে (Super Cyclone) পরিণত হয়েছে। এর সর্বোচ্চ গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার। আগামী বুধবার দুপুরে বাংলায় (West Bengal Weather Forecast) প্রবেশ করতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। এই আমপানের ঝাপটায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে দিঘা, মন্দারমণি, সুন্দরবনের সমুদ্র সৈকত এবং উপকূলবর্তী এলাকায়। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া-সহ বৃষ্টি মঙ্গলবার থেকেই শুরু হতে পারে। বুধবার গাঙ্গেয় বঙ্গের প্রায় সর্বত্র ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে। আমপানের (Amphan) প্রভাবে মঙ্গল ও বুধবার কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হুগলী, নদীয়ায় প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে কলকাতাতেও (Kolkata Weather)। 




আগামীকাল স্থলভাগে আমপান আছড়ে পড়তে পারে। হওয়ার গতিবেগ ১৭৫ - ১৯৫ কিমি থাকতে পারে। সোমবার রাতে আমপানের অবস্থান ছিল দিঘা থেকে ৭২০ কিলোমিটার দূরে। কলকাতা ও দুই ২৪ পরগনায় আছড়ে পড়তে পারে ঝড়। গতকাল পর্যন্ত এই সাইক্লোন উত্তরমুখী ছিল। পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ তা উত্তর-পূর্ব দিকে, অর্থাৎ বাংলা, ওড়িশা ও বাংলাদেশের দিকে এগোচ্ছে। কলকাতার আকাশ সকাল থেকেই মেঘলা। আজ থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা।

আগামীকাল বিকেল থেকে সন্ধের মধ্যে দিঘা ও বাংলাদেশের হাতিয়ার মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে আমপান। মোকাবিলায় তত্‍পর প্রশাসন। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর আগে গতবছর দুটি ঘূর্ণিঝড় দেখেছে রাজ্য। গতবছর নভেম্বর মাসে এসেছিল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। ওই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয় রাজ্যে। গত বছরেরই মে মাসে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে অবশ্য সবচেয়ে বেশি দেখা গিয়েছিল ওড়িশায়। তবে স্থলভূমিতে আছড়ে পড়ার আগে যথেষ্টই দুর্বল হয়ে পড়েছিল ফণী। ২০০৯-এ ঘূর্ণিঝড় আয়লায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল রাজ্যের উপকূল অঞ্চলে। মে মাসের ওই ঘূর্ণিঝড়ে ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়ে ৩৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

অবশেষে চ্যানেল টি সাবস্ক্রাইব করতে ভুলবেন না এবং ফেইসবুক পেজ টি ও ফলো করতে ভুলবেন না।  আরো নিত্যনতুন আপডেট পেতে এই ব্লগ টি সাবস্ক্রাইব করে আপনার মতামত জানাবেন।


AMS Motion Pictures




Comments